https://youtu.be/Z-ZggwuorKU
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে করোনার সর্বকালীন সময়ের সবচেয়ে বেশী করোনার রোগী শনাক্ত
মো: হেলাল উদ্দিন, ষ্টাফ রিপোটার:
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এযাবৎ করোনার সর্বকালীন সময়ের সবচেয়ে বেশী রোগী শনাক্ত হয়।
সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের পার্বতীপুরেও ৮ম দিনে লকডাউনের পরিস্থিতির তেমন কোন উন্নতির ছোঁয়া লাগেনি। বরং করোনার ভয়াবহতার রুপ নিলো পার্বতীপুর উপজেলা।
করোনার প্রেক্ষাপট আরো জটিল থেকে জটিলতর হতে চলেছে পার্বতীপুরে। পার্বতীপুরে করোনা মহামারীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা যায়।
এ নিয়ে আমাদের সহকর্মী মো: হেলাল উদ্দিনের তথ্য ছবিতে দেখুন একটি ডেস্ক রিপোর্ট।
বৃহস্পতিবার পার্বতীপুরে ১৬৯ জন করোনা পরীক্ষায় ৪৫ জন পজেটিভ হয়েছে। কিন্ত লকডাউনের ফলে কমে আসার কথা থাকলেও দিন দিন এই অঞ্চলে করোনা রোগীর সংখ্যা এতটাই বেড়ে চলছে যা সর্বকালীন সময়ের সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত।
প্রশাসন লকডাউনের কঠোর উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবে অধিকাংশ জনগন মানতে নারাজ। যেন চোর পুলিশের খেলা। সাইরেন শুনলেই সকল দোকানদারসহ সাধারন মানুষ গলির ফাঁকে লুকিয়ে পড়ে। তারপর তারা চলে গেলে আবার রাস্তায় বেরিয়ে লকডাউন উপভোগ করে। এত উৎসুক জনতা এভাবে লকডাউন দেখতে রাস্তার আনাচে কানাচে জটলা করে পরিস্থিত অস্বাভাবিক করে তুলছে। এদিকে খেটে খাওয়া মানুষেরা লকডাউনকে তেমন কোন তোয়াক্কা না করে করোনার সাথে মোকাবেলা করে অর্থ উপার্জন করার চেষ্টা। শুধু পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দেবার জন্য।
সেই সাথে অনেকের অভিযোগ, লকডাউন সবাই ঠিকই মেনে চলতো কিন্তু নিয়মতান্ত্রিকভাবে সাহায্য সহযোগীতা পেলে দিনমুজুর, হতদরিদ্রসহ মধ্যবৃত্ত পরিবাররা তা থেকে বঞ্চিত হতোনা। তারা অবশ্যই সঠিকভাবে লকডাউন মেনে চলতো। তাদের ধারনা ক্ষুধার কাছে করোনা কিছুই না। কেউ না খেয়ে মরতে রাজি না। এভাবেই দু:খ প্রকাশ করছে অসহায় মানুষেরা।
পার্বতীপুরের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে আমাদের ষ্টাফ রিপোটার মো: হেলাল উদ্দিনের প্রতিবেদনে আরো জানা যায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথেষ্ট করোনীয় ব্যবস্থা নিলেও জনগনের সচেতনতার অভাব বলে আখায়িত করেন। তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাশিদ কায়ছার রিয়াদ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে যৎসামান্য অর্থদন্ড দিয়ে বিনা মাস্কধারীদের মাস্ক পড়িয়ে দিচ্ছেন সেই সাথে দোনাদারদের সচেতন করার লক্ষ্যে দিক নির্দেশনা দিয়ে সল্পপরিমান অর্থদন্ড দেন। এরি প্রেক্ষিতে এই দিনে মামলা হয় ১০টি এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ মাস্কবিহীন পথচারীদের থেকে জরিমান করেন মাত্র ১৯ শত টাকা।
Post a Comment