বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের সর্ববৃহত্তম বেনাপোল স্থলবন্দরে ৯ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তিনদিন মহাসড়কে ভারী যানবাহন চলাচল না করায় পণ্য সরবরাহ বন্ধ থাকবে। ফলে শিল্পকারখানায় উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা আগাম পণ্য খালাস করে রাখছেন।
ঈদের আগে ও পরে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির তালিকায় এ তথ্য জানা গেছে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন এখন পর্যন্ত তারা ছুটির কোনো নির্দেশনা পাননি। বর্তমানে বন্দরের কার্যক্রম সপ্তাহে ৬ দিনে ২৪ ঘন্টা চলমান রয়েছে। এদিকে লম্বা ছুটির কারণে প্রয়োজনীয় পণ্য খালাস নিতে বন্দর থেকে পণ্য খালাসের ব্যস্ততাও বেড়েছে।
জানা গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় স্থলপথে আমদানির ৭০ শতাংশ হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। এ বন্দর দিয়ে শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আমদানি বেশি হয়। এছাড়া মোট ২৫ হাজার মানুষ এই বন্দর কেন্দ্রিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিবছর সরকার এ বন্দর থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পায়।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ জামাল হোসেন জানান, এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন দুইশ থেকে তিনশ ট্রাক আমাদানি রপ্তানি হয়। ঈদে ছুটির আগে ও পরে বন্দরে পণ্য পরিবহনে বিভিন্ন সংকট দেখা যায়। শিল্পকারখানায় উৎপাদন কাজে প্রচুর কাঁচামালের প্রয়োজন হয়। তাই ঈদের ছুটির প্রভাবে যেন উৎপাদন ব্যাহত না হয়, এজন্য ব্যবসায়ীরা আগাম পণ্য খালাস করে রাখছেন।
সোনালী ব্যাংকের বেনাপোল শাখার ম্যানেজার এআরএম রকিবুল হাসান বলেন, ‘২৭ মে বেনাপোল বন্দরে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা। যা অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।’
বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বলেন, বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে সপ্তাহে ছয় দিনে ২৪ ঘণ্টা আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। ঈদ উপলক্ষে এখন পর্যন্ত আমাদের ছুটির কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে ঈদের আগে ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত প্রয়োজনীয় পণ্য খালাস নিতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া আছে।
মোঃ রাসেল ইসলাম/হাবিব ইফতেখার/শাহিনুর/এস রহমান